যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৭ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ১ জুন থেকে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, আয়-রোজগারের কথা বিবেচনা না করে সরকার গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। বলা হয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী পরিবহন করা হবে বিধায় বাস ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আবার অতিরিক্ত যাত্রীও বহন করা হচ্ছে। এতে যাত্রীরা আর্থিকভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতভাগ বা তার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন তো দূরের কথা, দাঁড়িয়ে গাদাগাদি করেও যাত্রী পরিবহন করতে দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দূরত্ব পালনের কোনো শর্তই মানা হচ্ছে না। বাস সহকারীদের স্যানিটাইজার ব্যবহার করার কথা থাকলেও তারা তা করছে না।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো উল্লেখযোগ্য তৎপরতা নেই। যার ফলে একদিকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে যাত্রীদের পকেট কাটা হচ্ছে, অপরদিকে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি না মানায় মানুষের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এভাবে চলতে থাকলে করোনার সংক্রমণ আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ এবং গণপরিবহনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”