বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১০ মে এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “৯ মে রাতে উল্লাপাড়ার বোয়ালিয়া বাজার মসজিদে তারাবির নামাযরত অবস্থায় উল্লাপাড়া উপজেলা শাখা জামায়াতের আমীর ও উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান আলীকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ৯ মে ছিল মহিমান্বিত ক্বদরের রাত। তিনি অন্যান্য সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের ন্যায় তারাবির সালাত আদায় করছিলেন। এ অবস্থায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ধর্মীয় বিধান পালনে বাধা দিয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট ছিল না। কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। পবিত্র রমজান মাসে যখন মানুষের সাথে কোমল আচরণ করার কথা, তখন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে পাশবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে। এ রকম জুলুম-নির্যাতন কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
অধ্যাপক শাহজাহান আলীসহ সারাদেশে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
অপর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “পবিত্র রমজান মাসে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হয়রানি করা এ সরকারের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। সরকার রমজানের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী ও সাধারণ মুসল্লীদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। ক্বদরের রাতে অধ্যাপক শাহজাহান আলীকে গ্রেফতার করে সরকার প্রমাণ করেছে এ দেশের মানুষের ধর্ম পালনেরও কোনো অধিকার নেই। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতার অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অধ্যাপক শাহজাহান আলীসহ গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”