অবিলম্বে বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ করে পাটকল শ্রমিকদের পরিবারদের নিয়ে রোজা পালনের সুযোগ দিন। তাদের ন্যায্য দাবী পুরণ না করে পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিকদেরকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও হকার উচ্ছেদের মতো অমানবিক ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
তাই আন্দোলনরত শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ন্যায্য দাবী মেনে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি,সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান। গতকাল বুধবার দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এই আহবান জানান।
তারা আরো বলেন, পাটকল শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপনের কারণে সরকারি ৩২টি পাটকলের প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক এই আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে।
এই আন্দোলন কোনো নতুন দাবির ভিত্তিতে গড়ে উঠেনি। তারা কাজের বিনিময়ে যে বেতন-মজুরি প্রাপ্য হন তা সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে না পাওয়ায় এই আন্দোলন। কোনো কোনো পাটকলে ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ তারা বেতন মজুরিহীন অবস্থায় আছেন। সর্বশেষ ডেমরার করিম জুটমিল,লতিফ বাওয়ানি মিলের শ্রমিকরা যাত্রাবাড়ী সড়ক অবরোধ করে।বকেয়া বেতন না পাওয়ার ফলে তাঁদের দৈনন্দিন জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। এই অবস্থায় খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাই তাঁদের কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এই অবস্থায় তাঁরা বাঁচার জন্য বাধ্য হয়ে সড়ক পথ-রেলপথ অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছে।
সরকার যদি দ্রুত তাদের দাবি মেনে নিয়ে বেতন-মজুরি পরিশোধ না করে তবে শ্রমিকের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন তাদের বাঁচার তাগিদে সহিংস আন্দোলনে রূপ নিতে পারে। যা কোনোভাবেই দেশবাসীর কাম্য নয়।
তারা বলেন, আইনগতভাবে তাদের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, নিজেদের পাওনা বুঝে পাওয়ার আইনসঙ্গত দাবি।অতএব নেতৃবৃন্দ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,সম্ভাবনাময় পাট শিল্পের কথা বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করুন। অবিলম্বে রমজানের মধ্যেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রোজা পালনের জন্য নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মন্ত্রণালায়সহ সরকারের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।