আমার দীর্ঘ কারাজীবনের প্রায় দশ মাস আল্লামা সাঈদীর সাথে একই কারাগারে কাটানোর সৌভাগ্য হয়েছিল। পুরোনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মাঝে মাঝে উনার কারাকক্ষে যেতাম। বরকতময় নেক সোহবত পেতাম। কারাগারে একবার ঈদের জামায়াতে একসাথে শরীক হলাম। শ্রদ্ধেয় নেতা মাওলানা আব্দুস সোবহানও (রাহেমাহুল্লাহ) সেই জামায়াতে শরীক ছিলেন।
ঈদের জামায়াত শেষে আল্লামা সাঈদীর অশ্রুসিক্ত মুনাজাতে কারা বন্দীদের আহাজারির সেই পবিত্র স্মৃতিতে আজও আমি আবেগময় হয়ে উঠি।
কাশিমপুর কারাগার থেকে আমার বিদায়ের দিন আল্লামা সাঈদীর কাছে বিদায়ী সালাম জানাতে ও দোয়া নিতে তাঁর কারাকক্ষে গেলাম। তিনি আমাকে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। দু’জনেই হৃদয়ের সবটুকু মহব্বতের আবেগে অশ্রুসিক্ত হলাম।
তিনি কেঁদে কেঁদে আমাকে বললেন ” পরওয়ার ভাই, সকলকে আমার সালাম জানাবেন এবং দোয়া করতে বলবেন। আল্লাহর কাছে আমি শুধু এই দোয়া করছি, আল্লাহ তুমি আমাকে আরেকবার কুরআনের ময়দানে ফিরে যাওয়ার তাওফিক দাও। ”