বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সকল শিল্প কল- কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদুল আজহার পূর্বেই দিয়ে দিন যাতে করে শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ উৎসব করতে পারে। প্রতিবছরই কিছু কিছু মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের বোনাস এবং বেতন ভাতা নিয়ে টালবাহানা ও ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। বেশির ভাগ গার্মেন্টস মালিকই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয় না, দিলেও তা হয় ইচ্ছামাফিক। এতে কারখানার শ্রমিকদের অমানবিক অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়। ফলে শ্রমিকরা তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ উৎসব থেকে বঞ্চিত হয়। যেটা আমাদের কারো কাম্য নয়।
গতকাল শনিবার ফেডারেশনের বিভাগ ও মহানগরী সভাপতিদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে মালিকদের প্রতি তিনি এই আহ্বান জানান। বৈঠকে সকল বিভাগ ও মহানগরীর সভাপতিগন উপস্থিত ছিলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রব্বানী, মাস্টার শফিকুল আলম, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, কবির আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাসান রাজু, ফখরুল ইসলাম, ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, কোষাধ্যক্ষ মনসুর রহমান, দফতর সম্পাদক আবুল হাশেম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হোসাইন ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আমিন প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় সকলের পক্ষে ঈদের আনন্দ যথাযথভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে না। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দরিদ্র ও কম আয়ের মানুষকে চরম দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দিয়েছে। পানি, জ্বালানি তেল, গ্যাস, বিদ্যুতের তীব্র সংকট জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি করেছে। অন্য দিকে ভয়াবহ বন্যায় দেশের মানুষের কষ্ট আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ফসলহারা কৃষকরা অর্ধাহারে-অনাহারে ক্ষুধায় হাহাকার করছে। তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা সামগ্রী ও নগদ অর্থ সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন।
তিনি কৃষকদের জন্য খাদ্য দ্রব্যসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, বিনামূল্যে ঔষধসহ চিকিৎসা সামগ্রী ও বিনা সুদে কৃষি ঋণ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে সব স্বচ্ছল, দানশীল ব্যক্তি, সাহায্য সংস্থা এবং বিশেষ করে শ্রমিক কল্যাণের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদেরকে দুর্গত এলাকার জনগণের পাশে সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান।