চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের ট্যাক্স চেম্বারে পুলিশের তল্লাসি অভিযান এবং জেলা শাখা জামায়াতের অফিস সহকারী জনাব শরিফ হাসানকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৯ মার্চ এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১৮ মার্চ দিবাগত রাত দেড়টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার অফিস সহকারী জনাব শরিফ হাসানকে তার নিজ বাসা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ শরিফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ও পৌর আমীর এ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ রাসেলকে গ্রেফতার করতে তাদের বাসায় যায়। তাদেরকে বাসায় না পেয়ে এ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বাদশার ট্যাক্স চেম্বারে গিয়ে পুলিশ নিজ দায়িত্বে চেম্বারের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ চেম্বারের সবকিছু তছনছ করে এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান প্রদত্ত স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভাষণের ৩০০ কপি এবং আমীরে জামায়াতের আহবানের ৫০ কপি জব্দ করে নিয়ে যায়। আমি পুলিশের এই গ্রেফতার এবং ভাষণের কপি জব্দ করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে এবং তা পালন করা হচ্ছে।
জাতি যে মুহূর্তে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান ও তল্লাসির নামে হয়রানি করা খুবই দুঃখজনক।
জুলুম-নীপিড়ন বন্ধ করে জনাব শরিফ হাসানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আমীরে জামায়াত প্রদত্ত ভাষণের জব্দকৃত সকল কপি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”