করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তৃতির প্রেক্ষাপটে গার্মেন্টস শিল্প কারখানাসমূহ খুলে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৪ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন:
“করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তৃতির প্রেক্ষাপটে সরকারি ছুটি বর্ধিত করা হয়েছে। সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে। লোকজনের ভীড় এড়ানোর জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের সাথে রূঢ় আচরণ করছে। রাস্তায় চলাফেরা করলে তাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে।
অথচ অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো ৫ এপ্রিল থেকে গার্মেন্টস কারখানাসমূহ খুলে দেয়া হচ্ছে। ফলে গার্মেন্টসে কর্মরত হাজার হাজার কর্মচারী ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করছে। যানবাহন বন্ধ থাকায় কর্মচারীরা দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে এমনকি হেঁটে হেঁটে দলে দলে ঢাকায় আগমন করছে। করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের মাঝে সরকার একদিকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিষয়ে জোর দিচ্ছে, অপরদিকে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দিয়ে বহু লোকের একত্রে অবস্থান এবং চলাচলে বাধ্য করছে। এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না তা সরকারের নিকট জনগণের এক বড় জিজ্ঞাসা।
প্রতিদিনই নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস খুলে দিয়ে নতুন করে বিপর্যয় ডেকে আনা হচ্ছে বলে জনগণ মনে করে। গার্মেন্টস কর্মীরা চাকুরি বাঁচানোর স্বার্থে কর্মস্থলে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছে। সারা বিশ্ব যখন কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনকে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার উপায় বলে মনে করছে, সেখানে বাংলাদেশে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দিয়ে গোটা জাতিকে হুমকির মাঝে ফেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কি না জনগণ তা জানতে যায়?”