ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচীতে বাধা প্রদান ও ১৯ মে কুষ্টিয়া জেলা থেকে ২৫ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০ মে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “মুসলমানদের প্রথম কেবলা পবিত্র মসজিদ আল-আকসাসহ গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরাইল প্রতিনিয়ত হামলা চালাচ্ছে। প্রতিদিনই সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। দখলদার ইসলাইলের হাত থেকে নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। তারই প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচীতে পুলিশ বাঁধা প্রদান করেছে। কুষ্টিয়া জেলায় ১৯ মে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হওয়ার পর পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করতে থাকে। ১৯ মে কুষ্টিয়া সদরে ১৪ জন ও মিরপুর উপজেলায় ৪ জনসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ২৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমরা সরকারের এই ফ্যাসিবাদী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ব আজ দুভাগে বিভক্ত। বাংলাদেশসহ শান্তিকামী বিশ্ব ইসরাইলের বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনের মজলুম জনতার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জামায়াতে ইসলামীসহ এ দেশের সাধারণ জনগণ ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বেশ কয়েক দিন যাবত বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। কিন্তু সরকার সেই বিক্ষোভ মিছিল থেকে গ্রেফতার করছে। জনগণের প্রশ্ন সরকার বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে কাকে সন্তুষ্ট করতে চায়? ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে কোনো ধরনের বিক্ষোভ বা মিছিল করা যাবে না মর্মে সরকার কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। তার পরও কেন এই হয়রানি এবং গ্রেফতার? আমরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
অবিলম্বে বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের পাশে দাঁড়ানো এবং যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমি শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”