বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সাত বছর পরও প্রতিশ্রুতির সহায়তা পাননি তাজরিন ফ্যাশন লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকরা। ২০১২ সালে ২৪ নভেম্বর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১৩ শ্রমিক নিহত ও প্রায় ১২০০শত শ্রমিক আহত হয়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী, বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠান পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন আজো হয়নি।
গতকাল তাজরীন ফ্যাশনের সাত বছর পূর্বের এই মর্মান্তিক ঘটনার কথা স্বরণ করে এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, তাজরীন ফ্যাশনের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণবাসনের জন্য মুখরোচক শিরোনাম মিডিয়ায় ঘোষণা দিলেও বাস্তবে তা ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতোমধ্যে বহু শ্রমিক পঙ্গুত্ব বরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের কোনো ধরনের যথাযথ ক্ষতিপূরণ বা পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। নিহতদের পরিবার কিছু ক্ষতিপূরণ পেলেও আহত শ্রমিকদের ভাগ্যে যন্ত্রণা আর কষ্ট ছাড়া তেমন কিছুই জোটেনি। দু’মুঠো আহার যোগানোই এখন তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারছেন না আহত শ্রমিকরা। আহত শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের ফলোআপ চিকিৎসা হচ্ছে না। এ বিষয়ে কেউ দায়িত্বও নিচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, আহত শ্রমিকদের যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে এই অর্থ অপর্যাপ্ত। বর্তমান আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ একেবারেই কম। গুরুতর আহত শ্রমিকদের লস অব আর্নিংসের ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সাত বছর অনেক সময়। ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণবাসনের জন্য আর কত অপেক্ষা করতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের। আমরা চাই, দ্রুত তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হোক। অনেকে পঙ্গু অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নিশ্চিত জীবনের ধারায় ফিরিয়ে আনতে এবং দ্রুত দেশের সব গার্মেন্ট
কারখানার নিরাপদ অবকাঠামো ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে গার্মেন্ট মালিক, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে তিনি আহবান জানান।