২৯ মে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের গোলাখালি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে গিয়ে নগদ অর্থসহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় তিনি বলেন, ২৬ মে উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূণিঝড় ইয়াশে যারা বসতবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি হারিয়েছেন তা অপূরণীয়। আপনাদের ক্ষতি আমরা পূরণ করতে পারবো না। তবে আমাদের সামর্থানুযী আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সান্ত্বনা দিয়ে আরো বলেন, আল্লাহতালা কার তকবিরে কী রেখেছেন তা তিনিই ভাল জানেন। কেউ বড় বড় দালান কোটায় আবার কেউ পানিতে ভাসমান অবস্থায়। নিশ্চয় এর প্রতিদান সেই মহান মালিক দিবেন। এজন্য আপনাদেরকে বিপদে-আপদে ধৈর্য ধরতে হবে এবং মহান আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে। একমাত্র আল্লাহই তাঁর রহমতের চাদর দ্বারা সকল বালা-মুছিবত দূরীভূত করতে পারেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মত দুর্যোগ মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় মানুষের পুনর্বাসন ও বাঁধ নির্মাণে সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল তা করা হয়নি। সবসময় এসকল এলাকার মানুষ অবহেলার শিকার হয়েছে। এমনকি এসকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া ও বিতরণ করা হয় তা যথেষ্ট নয়। তিনি উপকূলীয় এলাকার সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রের পাশাপশি সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল পর্যায়ের জনশক্তির প্রতি আহবান জানান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, প্রতিবারই এমন পরিস্থিতিতে কর্তাব্যক্তিরা শুধু আশ্বাসের কিছু মুখস্থ বুলি শোনান। আমরা নানান ধরনের মেগা প্রকল্পের নাম শুনে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ আলোর মুখ দেখতে পায়নি। আমরা উপকূলের মানুষ টেকসই বেড়িবাঁধসহ এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে এ অঞ্চল পরিত্যক্ত ঘোষণা করে উপকূলের মানুষকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরিত করার আহ্বান জানাই।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা জেলা শাখা জামায়াতের আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, শ্যামনগর আসনের সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা শাখা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমান, শ্যামনগর উপজেলা শাখা জামায়াতের সাবেক আমীর অধ্যাপক আব্দুল জলিল, বর্তমান আমীর প্রভাষক আব্দুর রহমান, খুলনা মহানগর ছাত্রশিবিরের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী ওসমানসহ আরো অনেকে।