আল্লাহর জমীনে আল্লাহ দ্বীন প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে রুকনদেরকে সর্বোচ্চ ত্যাগের নজরানা পেশ করার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি আজ ঢাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জেলা দক্ষিণ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল বার্ষিক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং জেলা সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ইসলামিক এডুকেশন সোসাইটির পরিচালক প্রিন্সিপাল ড. মো. ইকবাল হোসাইন ভূঁইয়ার দারসুল কুরআনের মাধ্যমে শুরু হওয়া সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার। আরো বক্তব্য রাখেন জেলা নায়েবে আমীর মো. শাহিনুর ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মূলত, রুকনিয়াত কোন পদ-পদবী নয় বরং একটি মান ও দায়িত্বানুভূতির নাম। তাই আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় রুকদেরকেই ময়দানে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। তারা সবসময় গোঁড়ামী ও কুসংস্কারের উর্ধ্বে থাকবেন। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি এবং শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদেরকে যোগ্যতর হিসাবে গড়ে তুলবেন। নিজেদের আমল-আখলাকের পরিবর্তনের জন্য বেশি বেশি কুরআন-হাদিস এবং ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন করতে হবে। সর্বোপরি বাড়াতে হবে দাওয়াতি কার্যক্রমও। তাহলেই দ্বীনের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে। তিনি রুকনিয়াতের প্রকৃত চেতনা ধারণ করে সকলকের প্রতি নিজেদের করণীয় নির্ধারণের আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসলামী আন্দোলন কোন দায়সারাভাবে করলে চলবে না বরং নিজেদের জানমালের কুরবানী করার প্রত্যয় নিয়েই সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মূলত জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর কাজ হচ্ছে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ কাজ। সে কাজ করতে গিয়েই আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন। তাই বাতিল শক্তির সকল জুলুম-নির্যাতন ও বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে আঞ্জাম দিতে হবে।
মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক শক্তি। তাই আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোনভাবেই হীনমন্য হওয়ার সুযোগ নেই বরং ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সাথেই ময়দানের প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হবে। আর রুকনরা তো সবকিছু বুঝেই বাইয়াত গ্রহণ করেছেন। তাই দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রুকনরা সংগঠনের মূল জনশক্তি। তাই তাদেরকে আন্তরিকতা, বলিষ্ঠতা ও সাহসিকতার সাথে ময়দানে কাজ করতে হবে। তিনি আগামী দিনের সকল কর্মসূচিতে রুকনদেরকে সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করার আহবান জানান।