খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জুলুমবাজ সরকার ভালভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে তাদের পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই তারা নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব বিস্তারের জন্য আজ্ঞাবহ লোক দিয়ে নির্বাচন কমিশন সাজিয়েছে। গণপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল বিভাগই দলীয়করণ করা হয়েছে। অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি সময়ের দাবি হলেও সরকারের সদিচ্ছার অভাব, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উপর্যুপরি ব্যর্থতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, ডুমুরিয়া-ফুলতলাসহ সারাদেশে ধানের শীষের জোয়ার দেখে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ জন্য তারা ধানের শীষের কর্মীদের হামলা, মামলা ও ভাংচুরের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় দেশব্যাপী বাধাদান, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি, হামলা, মামলা, গ্রেফতার, মারধর ও ভাংচুরের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানান এবং গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। তিনি গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডুমুরিয়া-ফুলতলা বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন।
সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের রানাই গ্রাম দিয়ে দিনের গণসংযোগ শুরু করেন মিয়া গোলাম পরওয়ার। এরপর তিনি বামনদিয়া, টিপনা ও ফুলতলা উপজেলার জামিরা, দামোদর, আটরা-গিলাতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও ঊঠান বৈঠক করেন। এর মাঝে তিনি ডুমুরিয়া থানা আইন শৃংখলা কমিটির সভায় যোগদান করেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন খুলনা উত্তর জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, নায়েবে আমীর মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর, ভাইন চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন মফিজ, জেপি’র সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএনপি নেতা শাহিনুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান মাহ্বুবুর রহমান, মাওলানা হাবিবুর রহমান, এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ফুলতলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম গাউসুল আজম হাদি, ইকবাল হোসেন, ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আবুল বাশার, জামিরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল হাসান, সাবেক চেয়ারম্যান এস এ রহমান বাবুল, অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, ফ ম আব্দুর রহমান, রফিকুল ইসলাম শুকুর, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি তাওহীদুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, কবিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন মোড়ল, মোস্তফা আল মুজাহিদ, গাজী মোর্শেদ মামুন, শিবির নেতা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, এমদাদুল হক, গাজী আল আমিন, সাহাবুদ্দিন আরাফাত, আসাদুর রহমান, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।