পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৪ আগষ্ট এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় শামলাপুর চেকপোস্টে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ও মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ এরশাদ খানের পুত্র। মেধাবি ও তরুণ এ সেনা কর্মকর্তা ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসরে যান এবং একটি ইউটিউব চ্যানেলে কাজ শুরু করেন।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব হলো কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বা আইনের আওতায় এনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু কোনো জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত ও বিচার ছাড়াই কাউকে গুলি করে হত্যা করা মানবাধিকার ও আইনের সুস্পষ্ট লংঘন। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বিচার বহির্ভূত হত্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী গত জুলাই মাসে ৩৫ জনকে এবং গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১৪৩ জনকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক ক্রসফায়ারের নামে বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করার অধিকার কারো নেই। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে চরম অবনতি ঘটেছে, তার নির্মম শিকার হয়ে সিনহা দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মেজর (অবঃ) জনাব সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”