বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে অন্যায়ভাবে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৭ মে এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৬ মে রাত ৮টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গণমানুষের নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামকে চট্টগ্রামের কোতওয়ালী থানার টেরিবাজার এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায়। মহিমান্বিত এ রমজান মাসে তারাবীর পূর্ব মুহূর্তে একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধিকে বিনা ওয়ারেন্টে ডিবি পলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। খোঁজ না পেয়ে তাঁর পরিবার খুবই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা ওয়ারেন্ট ছিল না। কী কারণে তাঁকে উঠিয়ে নিয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। পবিত্র রমজান মাসে যখন মানুষের সাথে কোমল আচরণ করার কথা, তখন পুলিশ নিরীহ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণতি কখনো শুভ হয় না। ভিন্নমতের মানুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের উপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়ে সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ সারাদেশে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”