বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল এর ছোট ভাই জনাব মোঃ শরিফুল ইসলামের জানাযায় বাধা প্রদান ও তাদের শোকাহত পরিবারকে হয়রানি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৮ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“১৭ নভেম্বর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুল এর ছোট ভাই জনাব মোঃ শরিফুল ইসলাম রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তিকাল করেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নিজ বাড়িতে তার লাশ নিয়ে যাওয়ার পূর্বেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয় এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় ৫০ জনের বেশি লোক জানাযায় অংশ নিতে পারবে না। যার কারণে বিপুল সংখ্যক মুসুল্লী জানাযায় অংশ গ্রহণ করতে পারেনি। পুলিশ স্বল্প পরিসরে জানাযা নামায আদায় করতে বাধ্য করে। এমনকি জানাযার পর জনাব জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুলকে তার শোকাহত পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে শোক প্রকাশের সুযোগটুকুও দেয়া হয়নি। গভীর রাত ১টার দিকে পুলিশ তাদের বাড়ি ঘেরাও করে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মা ও আত্মীয়-স্বজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে। জনাব নুরুল ইসলাম বুলবুলকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ বাড়ির প্রত্যেকটি জায়গায় এমনকি বাথরুম ও রান্নাঘরেও তল্লাশি চালায়। একটি শোকাহত পরিবারকে এভাবে হয়রানি করা এবং তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের বর্বর আচরণের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে একজন মুসলিমের জানাযায় বাধা প্রদান ও একটি শোকাহত পরিবারকে হয়রানি এবং তাদের সাথে এ বর্বর আচরণের কারণ দেশবাসী জানতে চায়।
সরকারের এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড ও বর্বর আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়র জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”