ঢাকার সিভিল সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কর্মকাণ্ড এবং রোগীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১০ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “৮ জুলাই ঢাকার সিভিল সার্জন ডাঃ আবু হোসেন মোঃ মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় ঢাকা জেলার সরকারি হাসপাতালসমূহে রোগীর সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ডের উপর ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কোনো প্রকার তথ্য আদান-প্রদান ও মন্তব্য দিতে নিষেধ করা হয়েছে। এটি সিভিল সার্জনের গণমাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রবাহে অযাচিত হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছু নয়।
বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের সরকারি হাসপাতালগুলোর স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। রোগীর সেবা সম্পর্কিত ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ডের উপর ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় কোনো প্রকার তথ্য না দিতে ঢাকার সিভিল সার্জন কর্তৃক যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনী এবং অবাধ ও মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধী। সিভিল সার্জনের এ অনৈতিক এবং অবাধ তথ্যপ্রবাহ বিরোধী স্বেচ্ছাচারমূলক নির্দেশনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে সারাদেশে জনমনে যখন ব্যাপক আতঙ্ক ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে, ঠিক তখন এদেশের প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে সতর্কতা ও সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। দেশের হাসপাতালগুলোর বিদ্যমান সংকট, অব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যসেবার নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরে সংকট মোকাবেলায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করছেন। মূলত এসকল গণমাধ্যম কর্মীগণ হলেন সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা। আমরা মনে করি দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থেই স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক যে কোনো তথ্য গণমাধ্যম কর্মীদের দেয়া প্রয়োজন।
ঢাকার সিভিল সার্জন কর্তৃক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কর্মকাণ্ড এবং রোগীদের সম্পর্কে গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে নিষেধাজ্ঞার প্রদানের নির্দেশনা প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”