রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪ জন লোক নিহত হওয়ায় গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৪ এপ্রিল এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, “২৩ এপ্রিল ভোর রাত ৩টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় হাজী মুসা ম্যানসন নামে একটি আবাসিক ভবনের নিচতলায় রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪ জন লোক নিহত এবং ২৫ জন লোক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অগ্নিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন আমি তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দান করেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তল্লা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাসায় গ্যাস বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ ১১জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন আমি মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার কাছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, পুরান ঢাকায় কিছু দিন পর পরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে। ইতোপূর্বে ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলীতে অবৈধভাবে পরিচালিত কেমিক্যালের গুদামে আগুন লেগে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুরিহাট্টা এলাকায় ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৬৭ জনের মৃত্যু হয়।
বারবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পরও পুরান ঢাকায় বন্ধ হয়নি রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের ব্যবসা। সরানো হয়নি ক্যামিকেল গুদাম। অবৈধ প্লাস্টিক কারখানাগুলো এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ম বহির্ভ‚তভাবে বাসা-বাড়িতে এসকল রাসায়নিক-দাহ্য পদার্থের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণেই বারবার এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আরমানিটোলা ও নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”