শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৯ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ক্রমেই বিস্তার লাভ করছে। টেষ্ট যত বাড়ছে, ততই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। ইতোমধ্যেই ৭২৯ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যগণও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ থেকে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা অনুমান করা যায়।
করোনার জন্য দেশে দীর্ঘদিন যাবত লকডাউন চলছে। ফলে মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্দশা। অর্থনীতিতে নেমে এসেছে ধস। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী দেড় হাজারের বেশি বস্ত্র ও পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব কারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন কারখানার মালিকগণ। কারখানার শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে আসছি ।
আমরা মনে করি মানুষের জীবনের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা শ্রমিকদের কাজে ফেরানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কারখানাগুলোতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন যে এখনো শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। করোনা ভাইরাস সংকট উত্তরণে শ্রমিক-মালিক ও সরকারের সমন্বিত উদ্যোগ থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি।
শ্রমিকদের নিরাপদে কাজে ফেরা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রয়োজনীয় সামাজিক সুরক্ষা, বিনামূল্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক (পিপিই) সরবরাহ করার মাধ্যমে কারাখানার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”