বাংলদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন,পাটকল বন্ধের যড়যন্ত্র করে পাটশিল্পকে ধবংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।যে শিল্প হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন-জীবিকার সব রকম উপকরণ দিচ্ছে সেই শিল্পটাকে বাঁচাতে হবে। পাটশিল্প বাচলে বাঁচবে শ্রমিক, বাঁঁচবে সোনালী স্বপ্ন, বাচবে দেশ। খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি মিলের উৎপাদন সচল রাখা শ্রমিকদের প্রানের দাবি।
গতকাল দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পাটের অভাবে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি মিলের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাটকল বাঁচাতে জাতীয় বাজেটে পাট খাতে অর্থ বরাদ্দ, পাট মওসুমে মিলে অর্থছাড়, বিএমআরই, পাট দিয়ে বিকল্প পণ্য তৈরি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি জবাবদিহিতাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ সময়ের দাবি।
তিনি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, এক সময় বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের আওতায় ৭২টি পাটকল ছিল। নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনা আর পৃষ্ঠপোষকতাহীনতার কারণে ধুকে ধুকে অনেক মিল বন্ধ হয়ে গেছে। ধুকে ধুকে টিকে আছে ২২টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল। তাছাড়া বিশ্বায়নের ও মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ খাত। পাটের প্রতি অনীহা ও পরিকল্পনার অভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পাটখাত।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন,এদেশের পাটের প্রতি বিশ্বের অনেক দেশের ষড়যন্ত্র আগেও ছিল বর্তমানেও আছে। বর্তমান সরকার পাট শিল্পকে বাঁচাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। প্যাকেজিং অ্যাক্ট করে দেশের বিভিন্ন শিল্পে পাট পণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের আইন করেছে। তারপরও কেন পাট খাতে সমস্যা? এমন প্রশ্নের জবাব খোজার চেস্টা করতে হবে।
তিনি এক সুত্রের বরাত দিয়ে বলেন, গত অর্থবছরে পাট ক্রয় তিন দফায় ৮৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকার প্রায়। শুধু খুলনা অঞ্চলে ৯ পাটকলে বাজেট উৎপাদনের জন্য ১৯ হাজার মণ পাট দরকার। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ নয় পাটকলে পাট ক্রয় খাতে বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ৩৮ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত চাহিদার ১৮ ভাগ পাট ক্রয় করেছে মিলগুলো। গতকাল পর্যন্ত ৬ থেকে ৭ দিনের উৎপাদন চলবে এমন পাট আছে। অর্থাভাবে পাট ক্রয় করতে পারছেনা। পাট ক্রয় করতে না পারলে উৎপাদন বন্ধ হবার সম্ভাবনা।
তিনি পাটের অভাবে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি মিলের উৎপাদন বন্ধ হওয়ার যে উপক্রম হয়েছ তা কার্যকরী করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।