যাতায়াতের সুব্যবস্থা না করে শিল্পকারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের হয়রানি করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ৩১ জুলাই প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“ঈদের ছুটির পর শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরার সুযোগ না দিয়ে ঈদের একদিন পরই সরকার কঠোর লকডাউনের ঘোষণা করে।
রাজধানীতে লকডাউনে বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার, হয়রানি ও জরিমানা করা হয়। লকডাউন তুলে দেয়ার ব্যাপারে সরকারের একেক মন্ত্রী একেক সময় একেক রকম কথা বলছেন। কেউ বলছেন ৫ আগষ্টের পর কোনো লকডাউন থাকবেনা, কেউ বলছেন ৩ বা ৪ আগষ্ট সিদ্ধান্ত জানানো হবে, আবার কেউ বলছেন লকডাউন ১০ দিন বাড়ানোর কথা। সরকারের মন্ত্রীদের পারস্পরিক কোনো সমন্বয় নেই। সব ক্ষেত্রেই এক হযবরল অবস্থা বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামে গিয়েছিলেন তাদের যাতায়াতের কোনো ব্যবস্থা না করেই ১ আগষ্ট থেকে শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে রাস্তাঘাটে মানুষকে চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে। যানবাহন না থাকায় শ্রমিকগণ পায়ে হেঁটে, রিক্সায় করে জরিমানা দিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। করোনা ভাইরাসের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে সরকারের এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত দেশের মানুষকে আরো বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। আমরা সরকারের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সময়োপযোগী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”