বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গুজ্বর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুজ্বরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে শতর্ক হতে হবে এবং শ্রমিকদের সচেতন করতে হবে ও এডিস মশা ধ্বংস এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম,কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ মনসুর আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আযহারুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আবুল হাশেম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক এডভোকেট আলমগীর হুসাইন,শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাছির, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আমিন, আইন ও আদালত সম্পাদক এডভোকেট জাকির প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিকার ও এডিস মশার বিস্তার রোধে সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। সরকারের অযোগ্যতা ও অদক্ষতায় জনমনে ডেঙ্গু বেশ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এ রোগের প্রতিকার এবং চিকিৎসা সম্পর্কে প্রকৃত ধারণার অভাবই এই আতঙ্কের মূল কারণ। এ ক্ষেত্রে সচেতনতাই পারে এ রোগ প্রতিরোধ করতে। তাই এ রোগ সম্পর্কে সুষ্ঠুভাবে অবহিত হয়ে এ জ্বর প্রতিরোধ করার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে ফেডারেশনের সকল স্তরের দায়িত্বশীলপ্রতি আহবান জানান।
তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকার দুই মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর অবহেলা অমার্জনীয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ঢাকার দুই মেয়রের এ সময়ের ভূমিকা নিন্দনীয়।’ তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণে জনগণ অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কগ্রস্ত। তিনি ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ফেডারেশনের পক্ষথেকে কর্মসূচি সফল করার জন্য সকল জেলা মহানগরী, বিভাগে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এডিস মশাসহ সকল মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে; বাড়ির আশ-পাশে অবস্থিত খাল, পুকুর, ডোবা, নালা-নর্দমা ইত্যাদি থেকে কচুরিপানাসহ সকল আগাছা ও ময়লা আবর্জনা তুলে ফেলতে হবে এবং ঝোঁপ-ঝাড় কেটে পরিস্কার করতে হবে।
সাধ্য অনুযায়ী শ্রমিকদের মাঝে মশারী বিতরণ। কল কারখানা, গ্যারেজ, বাড়ি-ঘর, বাগান, উঠান এবং এর চার পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, বালতি- কনটেইনার ইত্যাদিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। ঐ সব পাত্রে তিন দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে; এসি ও ফ্রিজের পানি নিয়মিত অপসারণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ফেডারেশনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের আতংকিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ ও শান্তনা দিতে হবে।
সর্বপরি তিনি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রাহমাত ও সাহায্য কামনা করে বিগলিত চিত্তে কায়মনো বাক্যে দোয়া করার জন্য শ্রমিক ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।