বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানিতে গ্যাসের দাম সম্প্রতি বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে।সরকারের এ অন্যায় সিদ্ধান্তে জাতীয় অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। যা প্রান্তিক শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর জন্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছবে। মূলত সরকার শ্রমিক জনতার কথা না ভেবে দুর্নীতি ও লুটপাটকে নির্বিঘ্ন করতেই সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করার পায়তারা করছে।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের প্রতিবাদে গতকাল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, নতুনভাবে জ্বালানী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক চেষ্টা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। দীর্ঘ দিন যাবৎ আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানী তেলের দাম অনেক কম। আর গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ। নতুনকরে জ্বালানী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য হবে না। অথচ গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম রাড়ানোর আয়োজন চলছে। তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের দাম ১০২.৮৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করতে চাচ্ছে। কোম্পানিটি আবাসিকে একচুলা ৭৫০ টাকা থেকে এক হাজার ৩৫০ টাকা, দুই চুলা ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৪০ টাকা, বাণিজ্যিকে ১৭ দশমিক ০৪ টাকার পরিবর্তে ২৪ দশমিক ০৫ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। এ প্রস্তাব কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। জ্বালানী গ্যাসের দাম এক পয়সাও বাড়ানো যাবে না।
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে,এতে স্বল্প আয়ের শ্রমিক ও সাধারন মানুষের দুর্ভোগ আরো বেড়ে যাবে। শ্রমিকেরা ভাড়া বাড়িতে থাকে সেখানে বাড়ির মালিকরা এমনিতেই তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো বাড়ীভারা নির্ধারণ করেন। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে বাড়ীর মালিকরা বাড়ির ভাড়া বৃদ্বি করতে আরো তৎপর হয়ে উঠবে।ঢাকা মহানগরী সহ সারা দেশের শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য জীবন ধারন করা কঠিন হয়ে পড়বে।পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পাবে যার ফলে যাতায়াতে শ্রমজীবি মানুষকে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে,ফলে জনজীবন বিপন্ন হবে,শিল্প কারখানায় উৎপাদন হ্রাস পাবে।তাই তিনি,
অবিলম্বে সরকারকে এই সিন্ধান্ত থেকে সরে আসার জোর দাবি জানান এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করে শ্রমিক জনতাকে কঠিন জীবন থেকে রক্ষা করার আহবান জানান।