নতুন সড়ক পরিবহন আইন মালিক-শ্রমিকের সমোঝোতায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ আইন কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সারা দেশে বাস-ট্রাক সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের ফলে সৃষ্ট অচল অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, একটি আইন কার্যকর করার আগে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিবহনের জন্য কতটুকু সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন তা মালিক-শ্রমিকের জানার অধিকার রয়েছে। আমদের দেশে প্রয়োজনের তুলনায় একদিকে রাস্তা কম অন্যদিকে বিদ্যমান রাস্তাগুলোও প্রয়োজনের অালোকে প্রশস্ত নয়। সে ক্ষেত্রে রাস্তা প্রশস্ত ও পার্কিং-এর জন্য যথেষ্ট জায়গা না দিয়ে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোর অপরাধে শ্রমিকদের উপর দ্বিগুণ হারে জরিমানা ও শাস্তির আইন আরোপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। ফলে শ্রমিকদের পক্ষে তা মানা অনেকটাই কষ্টসাধ্য।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সড়কে শুধুমাত্র ড্রাইভারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেনা অনেক সময় পথচারী কিংবা আনুসাঙ্গিক কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে বিদ্যমান আইনে একজন অপরাধীর অপরাধ প্রমাণ করতে দীর্ঘ সময় নেন তদন্ত কর্মকর্তারা, সেক্ষেত্রে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এবং দায়ীকে যথাযথভাবে চিহ্নিত করার প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করে জামীন অযোগ্য আইন ও বিশাল অংকের জরিমানা কোনভাবেই যৌক্তিক হতে পারেনা।
তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ট্রাফিক পুলিশের অনিয়ম-দুর্নীতি যদি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে নতুন আইন আদৌ কোনো ফল দেবে না। বরং এতে আইনের অপব্যবহার বাড়বে এবং জনগণ চরম হয়রানির মধ্যে পড়বে। ফিটনেস সনদ ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হলে ফিটনেস সনদ পাওয়া সহজ করতে হবে।এছাড়া ফুটপাত হাঁটার উপযোগী রাখা,পথচারী পারাপারের জন্য প্রয়োজনীয় জেব্রা ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করা এবং পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না করতে পারলে শুধু বিশাল অংকের জরিমানা ও শাস্তির ভয় দেখিয়ে সড়কের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা যাবে না।তাই সরকারের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে মালিক-শ্রমিকের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ভারসাম্যপূর্ণ আইন কার্যকর করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যাক্তিদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।