বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের শ্রমবাজারের প্রায় অর্ধেকই নারী, শ্রমবাজারে তাদের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও অধিকারের বিষয়টি কখনোই সেভাবে গুরুত্ব পায়নি। একই ধরণের কাজে নারী শ্রমিক পুরুষ শ্রমিকের তুলনায় ৫৬ শতাংশ কম মজুরি পান।
কর্মক্ষেত্রের প্রায় সকল স্তরেই নারীরা শিকার হচ্ছে তীব্র মজুরী বৈষম্যের।তাই নারী শ্রমিকদের বঞ্চনা -নিপীড়ন ও বৈষম্যের অবসানের লক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
গতকাল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঘোষিত ১-১৫ ডিসেম্বর দেশব্যাপী শ্রমিক সেবাপক্ষ পালনের অংশ হিসেবে ফেডারেশনের মহিলা বিভাগের আয়োজনে দুস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান,ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মুগদা থানা দক্ষিণের উপদেষ্টা বনী ইয়ামিন ও উত্তরের উপদেষ্টা মতিউর রহমান প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে। গার্মেন্টস শিল্পে শতকরা ৮০ ভাগ, চিংড়িশিল্পে শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ, চা শিল্পে শতকরা ৭৫ ভাগ, হস্তশিল্পে শতকরা ৭০ ভাগ, কৃষিতে শতকরা ৩০ ভাগ, গৃহ শ্রমিকশিল্পে শতকরা ৯৫ ভাগ এবং অন্যান্য শিল্পে শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ নারী শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। অথচ বিশাল এ কর্মজীবী নারী শ্রমিক শ্রম আইনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
এছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটি, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ, ইত্যাদি অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে কর্মজীবী নারীরা আজও বঞ্চিত।তাই আগামীদিনে শ্রমজীবী-কর্মজীবী নারীদের সংগঠিত করে এবং তাদের নূ্ন্যতম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইনসাফভিত্তিক শ্রমনীতির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।