বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও জাতি হিসেবে আমরা স্বাধীনতার সত্যিকারের সুফল এখনো পাইনি। আমাদের সংবিধানে সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, যেগুলো মানুষের ইমান, নৈতিকতা, জাতিসত্ত্বা, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করে এসব মূলনীতিকে সংবিধানে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা ১৯৭০ এর নির্বাচনের পূর্বে ৬ দফা বা ১১ দফা কোন কিছুতেই এই বিষয়গুলো আসেনি।”
তিনি আজ ২৭ মার্চ ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “স্বাধীনতার পরে ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হলও যেন ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিপরীত ২ টি জিনিস। এ জাতির ওপরে সমাজতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ মানবরচিত মতবাদ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশের মুসলমানদের ইমান আক্বিদার ওপর তারা হামলা শুরু করেছে। একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে তিনটি বিষয় ছিলো- সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। পরবর্তীতে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনেরপেক্ষতাবাদকে সু-কৌশলে সংবিধানে সংযুক্ত করা হয়। স্বাধীনতারে উপর ভারতের সংবিধানের সাথে মিল রেখে তারা এগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করে। এক দলীয় শাসন ব্যবস্থাকে চিরস্থায়ী করার জন্য এগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করা হয় এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়।”
তিনি বলেন, “সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচারের কথা মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কুরআনেই বলেছেন। কাজেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই এ দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।” কুরআনের বিধান অনুযায়ী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে সকলকে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। ভারতীয় অধিপত্যবাদ থেকে দেশকে রক্ষ করা ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে জামায়াতের যে ভূমিকা তা খুব কম দলের মধ্যে রয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে ড. কেরামত আলী বলেন, “বাংলাদেশে আধিপত্যবাদকে রুখে দিতে হবে। স্বাধীনতার যে মূল চেতনা ছিলো সেটা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখতে আন্দোলনের সকল সদস্যকে আহবান জানান।”