বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ইসলাম মানুষকে সেবা ও কল্যাণমূলক কাজে সম্পৃক্ত হওয়াকে অত্যদিক গুরুত্ব দিয়ে এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করেছে। সেবামূলক কাজের সর্বোত্তম আদর্শ ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হলেন মানবতার বন্ধু বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তাই আগামী দিনে ইসলামী শ্রমনীতির বাস্তবায়নের অনিবার্যতা তুলে ধরতে বিশ্বনবী সেবার আদর্শ নিয়ে শ্রমজীবি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। গতকাল কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী শ্রমিক সেবাপক্ষ’১৯ পালনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা উপলক্ষে অঞ্চল পরিচালকদের বৈঠকে তিনি এই কথা বলেন। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ। অঞ্চল পরিচালকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রাব্বানী, হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, লস্কর মোহাম্মদ তসলিম, কবির আহমেদ, মাস্টার শফিকুল আলম, মজিবুর রহমান ভূইয়া, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল খান, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আযহারুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ মনসুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবুল হাশেম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাছির প্রমুখ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, মানব সেবা ও সামগ্রিক কল্যাণকর কাজে বাধা আসতে পারে, অর্থের সংকট হতে পারে, তাই বলে থেমে গেলে চলবে না। সাহসীকতা, দায়িত্ববোধ ও মনোবলকে অটুট রেখে ইনসাফভিত্তিক কল্যাণময় সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আগামী ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর সেবা পক্ষ পালন উপলক্ষে দেশ ব্যাপী নিন্মোক্ত কর্মসূচী ঘোষণা করে ফেডারেশনের সকল বিভাগ, মহানগরী, জেলা, ট্রেড ইউনিয়নসহ সকল শাখা ও জনশক্তিকে যার যার অবস্থানে থেকে কর্মসূচী পালনে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহবান জানান।
১.শ্রমঘন এলাকায় এবং ফ্যাক্টরিতে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে বিনামূল্যে চিকিৎসাপত্র প্রদান, ঔষধ বিতরণ ও ব্লাড গ্রুপিং এর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
২.অসহায় শ্রমিকদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, শীতবস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা।
৩.শ্রমিকদের সন্তানদের মাঝে স্কুল ড্রেস, ব্যাগ, খাতা-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা।
৪.দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ সার ও বীজ ইত্যাদি বিতরণ করা।
৫.গৃহহীন শ্রমিকদের মাঝে ঘর নির্মাণে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা এবং টিনসহ গৃহ নির্মাণ সামগ্রী বিতরণ করা।
৬.শ্রমঘন এলাকায় সাধ্যানুযায়ী স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও টিউবওয়েল স্থাপনে সহায়তা করা।
৭.গ্যারেজ ও শ্রমিক মেসগুলোতে পানির ফিল্টার সরবরাহ ও মশারী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
৮.বেকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং কর্ম-অক্ষম শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা।
৯.সেবাপক্ষে প্রত্যেক জনশক্তি ব্যক্তিগত উদ্যোগে কমপক্ষে ৫জন গরীব শ্রমিককে খাবার খাওয়াবেন।
১০.প্রত্যেক উপজেলা/থানার উদ্যোগে কমপক্ষে ১জনকে আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিক্সা-ভ্যান ও সেলাই মেশিন বিতরণ এবং ড্রাইভিং শেখানোর ব্যবস্থা করা।