বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, শ্রমিকদের ভাগ্যের পরিবর্তন না হলে সত্যিকার অর্থে দেশ উন্নয়নশীল হবেনা।
একটি দেশ উন্নয়নের সর্বোচ্চ চূড়ায় পৌঁছতে শ্রমিকদের ভূমিকা অপরিহার্য। শ্রমিকদের ভূমিকা ছাড়া কোন দেশ জাতি ও উন্নয়নশীল হতে পারে না।
গতকাল বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন আয়োজিত পহেলা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রমিকদের মাঝে অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ খানের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ- সভাপতি গোলাম রাব্বানী,কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক মোঃ কবির আহমেদ,সহ-সাধারন সম্পাদক ও মহানগরী উত্তরের সভাপতি লস্কর মোঃ তসলিম কেন্দ্রীয় সহ-সাধারন সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, শ্রমিক শ্রেণীর মানুষ আজ তাদের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না বিভিন্নভাবে শ্রমিকরা আজ নিগৃহীত ও নির্যাতিত হচ্ছে। সেসব শ্রমিক আজ অবহেলিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত থাকে বা রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় এর একটি মাত্র কারণ ইনসাফভিত্তিক শ্রমনীতি সমাজে চালু না থাকা। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ইনসাফভিত্তিক শ্রমনীতি সমাজে চালু হোক এই জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ পুঁজিবাদ আগ্রাসনে গ্রাস হয়েছে। পুঁজিবাদী মালিকপক্ষ শ্রমিকদের শ্রমের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে নিজেদের সম্পদ পাহাড় পরিমাণ গড়ে তোলছে। সবখানেই শ্রমিকরা শ্রমের মর্যাদা হারাচ্ছে। অথচ এ শ্রমিকদের জীবনবাজি রাখা শ্রমের বিনিময় তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে।শ্রমিকরা সমাজের সর্বত্রই শোষণের শিকার হচ্ছে।
যারা রাতদিন শ্রম দিচ্ছেন তারাই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ এই শ্রমিকের শ্রমের টাকায় মালিকপক্ষ রাজকীয় জীবনযাপন করছে। প্রতিনিয়তই মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে জীবনমানের পার্থক্য বাড়ছে। আর সব সম্পদ পুঞ্জীভূত হচ্ছে মুষ্টিমেয় কয়েকজন মানুষের হাতে।যার ফলে সমাজের চিত্রও তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, ১ মে, শ্রমিকদিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে বহুদিন আগ থেকে। কিন্তু এই দিবস পালনের মধ্যদিয়ে শ্রমিকদের জীবনের কোনো পরিবর্তন হয়নি। দেখা যাচ্ছে এইদিন যারা রাজপথে শ্রমিকদের পক্ষে বক্তৃতা দেন। নানা বাক্যে নীতির কথা বলেন। পরের দিন তারাই আবার জোঁকের মতো শ্রমিকের রক্ত চুষে খাচ্ছেন। এই হলো আমাদের শ্রমিক সমাজের চিত্র,তাই আজ এটাই পরিষ্কার পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, মানব রচিত আইন দিয়ে শ্রমিকের ভাগ্য পরির্তন সম্ভব নয়।
তাই আমাদের ফিরে যেতে ইসলামী শ্রমনীতির দিকে।একমাত্র ইসলামী শ্রমনীতি পারে শ্রমিকের ভাগ্য পরিবর্তন করে ইনসাফপূর্ন শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা করতে।যার দ্বারা সত্যিকার অর্থে একটি উন্নয়নশীল দেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।