৩১ মে দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপকূলীয় জেলা খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের আখড়া ও চাদগড় গ্রামে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভাঙন ও প্লাবনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে নগদ অর্থসহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, মানবতার কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে। এটি মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব। জামায়াতে ইসলামী জনগণের সমর্থন নিয়ে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি সকলকে এই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।
তিনি বলেন, ২৬ মে উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে যারা বসতবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি হারিয়েছেন তা অপূরণীয়। গতবারের ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’-এর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার আসলো ‘ইয়াস’। এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। এমতাবস্থায় একটি দায়িত্বশীল ও আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামী নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। তাই আমরা এসব মানুষের দুর্দশা লাঘবে সীমিত সামর্থ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। আশা করি আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস এ সব দুর্গত মানুষের কিছুটা সহায়ক হবে। ভবিষ্যতেও আমরা আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন, এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। কিন্তু সরকারের ত্রাণ তৎপরতার অপ্রতুলতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। সরকারের দায়িত্ব ছিলো এ সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকারের উদাসীনতার কারণে এখনো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সাহায্য-সহযোগিতা পায়নি।
সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সরকার। তারা জনগণকে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। ক্ষমতাসীনরা আজ জনগণের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, সয়াবিন ও পিঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির ফলে তা এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর এখন ধ্বংসের মুখোমুখি।
এ সময় সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও খুলনা উত্তর জেলা আমীর মাওলানা এমরান হোসাইন, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, যুব সেক্রেটারি এডভোকেট আবু ইউসুফ মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আজহার আলী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মনিরুল ইসলাম, শরাফপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক হেমায়েত হোসেন, শরাফপুর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি আব্দুল বারী, ইউনুচ হোসেন চান, মাস্টার লুৎফর রহমান, হারুন অর রশীদ প্রমুখ।