বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার রানা প্লাজা ট্রাজেডি দিবসে এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৩ সালরে ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমকি নিহত এবং আহত প্রায় ২ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়নি। তিনি সংশ্লিষ্টদের ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার জন্য আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার রানা প্লাজা ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে দেয়া বিবৃতির শুরুতে রানা প্লাজায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকার্ত পরিবারগুলোর প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, নিহত ও আহত পরিবারগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে যে আর্থিক সহযোগিতা করা হয়েছে তা খুবই সামান্য। এখনও অনেক পরিবার তাদের একমাত্র উপার্জন সক্ষম স্বজনকে হারিয়ে আর্থিক চরম সংকটে ভুখছেন। এখনও অনেকেই বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বেঁচে আছেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের উপর বর্তায় এবং দুর্ঘটনায় একজন শ্রমিকের মৃত্যুর দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট পক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারে না। রানা প্লাজা ও তাজরিন গার্মেন্টস এর মত দূর্ঘটনা যেন আর পূনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে সকলকেই সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, সাভারের রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় আহত পোশাক শ্রমিকের ৫১ শতাংশ বর্তমানে বেকার। তাঁদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ শারীরিক ও ২৭ শতাংশ মানসিক দুর্বলতার কারণে কাজ করতে পারছেন না।
আহত শ্রমিকদের শারীরিক অবস্থার কারণে আহত শ্রমিকেরা একটানা কাজ করতে পারেন না। সে জন্য ঘন ঘন কাজ পরিবর্তন করেন। তাই শ্রমিকদের এই বেকারত্ব অস্থায়ী। অথচ দুই বছর আগেও আহত শ্রমিকদের ৪৮ শতাংশ বেকার ছিলেন। আর এই দুই বছরের ব্যবধানে আহত শ্রমিকদের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে গেছে।
তাই রানা প্লাজা ও তাজরিন গার্মেন্টস সহ সকল দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত পরিবারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানান।
ReplyForward
|