৩০ মে সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার উপকূলীয় জেলা খুলনার কয়রা উপজেলার সবচেয়ে বড় ভাঙন কবলিত এলাকা দশহালিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থসহায়তা ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় তিনি বলেন, ২৬ মে উপকূলীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূণিঝড় ইয়াশে যারা বসতবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি হারিয়েছেন তা আমরা পূরণ করতে পারবো না। তবে আমাদের সামর্থানুযায়ী আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। খুলনার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাজার হাজার মানুষের জীবন-যাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। কিন্তু মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সরকারের প্রয়োজনীয় তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আমি সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ তৎপরতা বৃদ্ধির জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে সামর্থবানদেরও উচিত দূর্গত মানুষের পাশে এগিয়ে আসা।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামী বরাবরই জনগণের যে কোনো বিপদ-আপদে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। আর দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর এই গণমুখী প্রয়াস অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, আইনের শাসন, নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলা করার দায়িত্ব সরকারের। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি যে, সরকার সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার চিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এমতাবস্থায় জামায়াতে ইসলামী সবসময়ই দূর্গত ও বিপন্ন মানুষের পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এ সময় সেক্রেটারি জেনারেলের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা দক্ষিণ জেলা আমীর মাওলানা গোলাম সরোয়ার, সেক্রেটারি এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, কয়রা উপজেলা আমীর মাওলানা মিজানুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ, খুলনা দক্ষিণ জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ আবু ইসহাক, মহানগরী ছাত্রশিবির নেতা মু. আমিরুল ইসলাম, জামায়াত নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।