সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগ কর্তৃক গণধর্ষণের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৬ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেনঃ-
“২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় প্রাইভেটকারে দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার একটি দম্পতি সিলেটের এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এসময় কলেজ শাখা ও বহিরাগত ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী কলেজ হোস্টেলে তুলে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগ কর্মীরা বেড়াতে আসা দম্পত্তির স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পৈশাচিকভাবে গণধর্ষণ করে। পুলিশ মারাত্মকভাবে আহত স্ত্রীলোকটিকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনা গোটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এ বর্বরোচিত ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই। এ ঘটনা প্রমাণ করে দেশে মানুষের স্বাধীনভাবে চলাফেরা ও জীবনের নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। একইভাবে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে প্রকাশ্য দিবালোকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছিল। যার বিচার এখনো হয়নি।
গত মার্চ মাস থেকে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও সিলেটের এমসি কলেজ হোস্টেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা কিভাবে অবস্থান করছে এটি কারো বোধগম্য নয়। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকদের হোস্টেলে অবস্থান করে মাদক সেবন ও সন্ত্রাসী কার্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। আজকেও পুলিশ হোস্টেলে অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রিত কক্ষগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
সিলেট এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”