খুলনার কিংবদন্তি নেতা দাদু ভাই চলে গেলেন।
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাযিউন।
মহান আল্লাহ দাদু ভাইকে মাগফিরাত দান করুন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।
আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়, বর্ষিয়ান রাজনীতিক, ভাষা সৈনিক ও খুলনার রাজনীতির কিংবদন্তি দাদু ভাইয়ের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
অনেক আবেগময় অনেক মহব্বতের স্মৃতি ও সম্পর্ক দাদু ভাইয়ের সাথে আমার প্রায় তিন যুগের। তার বর্নাঢ্য ও সংগ্রামী জীবনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সাথে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন, শ্রমিকদের জন্য আন্দোলন, চারদলীয় জোট গঠন ও আন্দোলন, একত্রে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া, সংসদে ও খুলনার উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা পালনসহ অনেক কিছুই আজ মনে পড়ছে। ভাবিসহ একসাথে হজ্জও পালন করেছি আমরা।
মানুষকে ভালবাসা, সুন্দর ব্যবহার দিয়ে কাছে টানার এক মোহনীয় শক্তি দাদু ভাইকে সবার জন্য এক প্রশান্তির ঠিকানায় পরিণত করেছিল। তার অসাধারণ বক্তৃতাশৈলী ও দারাজ কন্ঠ শ্রোতাদেরকে মুগ্ধ করতো।
দাদু ভাইয়ের বাসা, বিএনপি অফিস, জামায়াত অফিস, খুলনার রাজপথ আজ শুধুই স্মৃতি।
মিটিং মিছিলের সম্মুখভাগে দীর্ঘদেহী এই বিশাল ব্যক্তিত্বের মুষ্টিবদ্ধ বাহু আজও আমাকে আপ্লুত করে।
দাদু ভাইয়ের এই শূন্যতা পূরন হবার নয়।
দাদু ভাই আমাকে প্রায়ই বলতেন – ” পরওয়ার সাহেব চলেন, আর একবার হজ্জ করে আসি “। আমার ঢাকায় অবস্থানের কারনে বেশ কয়েক বছর দাদু ভাইয়ের সাথে দেখা সাক্ষাৎ কম হতো। কয়েকবার ইচ্ছা করেছি অসুস্হ দাদু ভাইকে দেখতে যাবো, কিন্তু আফসোস ! তা আর হয়ে ওঠেনি।
আজ সকালে ইন্তিকালের খবরটা আমাকে সে কারনেই আরও কষ্ট দিচ্ছে।
দাদু ভাই আপনি শান্তিতে থাকুন, আপনি থাকবেন আমাদের স্মরনে দোয়ায় চিরদিন।
ইয়া রব, আমার প্রিয় দাদু ভাইয়ের সব নেক আমল কবুল করে নিন।সব গুনাহখাতা মাফ করে দিন। জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান বানিয়ে নিন। আমীন।