মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলা থেকে জামায়াতে ইসলামীর ১৩ জন নেতাকর্মীকে এবং রংপুর মহানগরী শাখা জামায়াতের ৩ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১ এপ্রিল এক বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “১ এপ্রিল সকাল পৌণে ৮টায় মুজিবনগর উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট বৈঠক চলাকালে জেলা জামায়াতের আমীর জনাব তাজ উদ্দিন খান, জার্জিস হোসাইন, উপজেলা আমীর খানজাহান আলী, উপজেলা সেক্রেটারী খায়রুল বাশার ও উপজেলা মহিলা সেক্রেটারী উম্মে হানিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে থানায় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়। পুলিশ তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে। সেখানে ৩টি ককটেল, ৫টি মটরসাইকেল ও জিহাদি বই উদ্ধারের নাটক তৈরি করা হয়।”
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, “১ এপ্রিল সকালে রংপুর মহানগরী শাখার বায়তুলমাল সেক্রেটারি ও কর্মপরিষদ সদস্য জনাব নূরুল ইসলাম বাদশা, হাজিরহাট থানা শাখার আমীর জনাব মশিউর রহমান ও থানা সেক্রেটারি জনাব আবুল কালাম আজাদকে বিশেষ ক্ষমতা আইন গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরকার মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির মাসে সারা দেশে ২৫৭ জন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। স্বাধীনতা দিবসে ১৮ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে। আজ মেহেরপুরে ১৩ জন এবং রংপুর মহানগর থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে সরকার তার ধারাবাহিক জুলুম-নিপীড়নের ঘটনা সংঘটিত করেছে। আমরা সরকারের জুলুম,নিপীড়ন মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। জুলুম-নিপীড়নের পরিণত কখনো শুভ হয় না। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। আমরা বাড়াবাড়ি বন্ধ করে অবিলম্বে মেহেরপুরে গ্রেফতারকৃত ১৩ জন এবং রংপুর মহানগরের ৩ জন নেতাকর্মীসহ সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”