৩ মে সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট মাদারীপুরের শিবগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার ফেরিঘাটের পুরাতন কাঁঠালবাড়ি ঘাটের কাছাকাছি আসার পর বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে ২৬ জন মানুষ নিহত হন এবং বেশ কয়েক জন আহত হন। ঐ দুর্ঘটনায় খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার পারোখালী গ্রামের একটি পরিবারের বাবা-মাসহ ৪ জন নিহত হন। ৯ মে সেই পরিবারের বেঁচে যাওয়া একমাত্র ছোট শিশু মিমের সাথে সাক্ষাত করে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৩ মে স্পীডবোট ডুবিতে যারা নিহত হয়েছেন, আমি তাদের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি, তিনি যেন তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দেন। তিনি আরো বলেন, স্পীডবোট ডুবিতে যারা নিহত হলেন, তাদের পরিবারের শূন্যতা কিছুতেই পূরণ হবার নয়। একমাত্র আল্লাহই তার রহমতের চাদর দ্বারা সকল শূন্যতা পূরণ করে দিতে পারেন।
এ সময় সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার মিমের পরিবারের খোঁজ-খবর নেন এবং নিহতদের কবর জিয়ারত পূর্বক তাদের পরিবার-পরিজনদের ধৈর্যধারণ ও এই শোক কাটিয়ে উঠার তাওফিক কামনা করে নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় লোকদের নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া করেন। এ সময় এক আবেগময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা উত্তর সাংগঠনিক জেলা শাখার আমীর মাওলানা ইমরান হোসাইন, নায়েবে আমীর মাওলানা কবিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী শাখার সভাপতি মোশাররফ হোসেন আনসারী ও খুলনা উত্তর সাংগঠনিক জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।