বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি (কারাবন্দী) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের পিতা জনাব মিয়া আবদুল হামিদ ১৭ অক্টোবর বেলা ১টায় ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। ১৮ অক্টোবর সোমবার বাদ মাগরিব ধানমণ্ডি ঈদগাহ মসজিদে তাঁর প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের জ্যেষ্ঠ পুত্র (কারাবন্দী) অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর বিকেলে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জানাযায় শরীক হন ও ইমামতি করেন। ১৯ অক্টোবর মঙ্গলবার খুলনা জেলার ফুলতলার শিরোমনি খানজাহান আলী কলেজ মাঠে বেলা আড়াইটায় দ্বিতীয় জানাযা শেষে তাঁকে শিরোমনি হাফিজিয়া মাদ্রাসা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও এডভোকেট মুয়ায্যম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের আমীর যথাক্রমে জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল ও জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের নায়েবে আমীর যথাক্রমে জনাব আবদুর রহমান মুসা ও জনাব মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ ও উত্তরের সেক্রেটারি যথাক্রমে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ ও ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ আতিকুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মোঃ সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী, ঢাকা বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন ও বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আবদুর রাজ্জাক, অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের ছোট ভাই মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও মিয়া মোঃ মুজাহিদুল ইসলামসহ মরহুমের আত্মীয়-স্বজন এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লী জানাযায় শরীক হন।
জানাযার পূর্বে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আল্লাহর কাছে প্রিয় বাবার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন এবং উপস্থিত মুসল্লীদের নিকট তাঁর পিতার জন্য দোয়ার আবেদন জানান। তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দিয়ে জানাযায় অংশগ্রহণে সহযোগিতার জন্য তিনি প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।