বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অতীতের মতো আগামী দিনেও জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকবে। গতকাল বুধবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বিএনপির প্রতীক অনশনে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতীক অনশনে পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রকাশ করেন।
এসময় তার সাথে আরোও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, শাহাবাগ থানা আমীর আহসান হাবিব, মতিঝিল থানা সেক্রেটারি মুতাসিম বিল্লাহসহ বিপুল সংখ্যক জামায়াত নেতা-কর্মী।
অনশনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মিয়া মোহাম্মদ গোলাম পরওয়ার বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী করে রেখে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করেছে। এ অবস্থায় তার অসুস্থতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ না দিয়ে সরকার তার প্রাপ্য নাগরিক অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করছে। আমরা অবিলম্বে এই হিংসাত্মক ও অমানবিক রাজনীতি পরিহার করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করে ক্ষমতাসীনদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সহনশীল রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরোও বলেন, জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর বর্বরোচিত অত্যাচার করা হচ্ছে। সরকার প্রকাশ্যে বিচার করার পরিবর্তে কারাগারের মধ্যে বিচারালয় বসিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা ক্যামেরা ট্রায়ালের শামিল। যা বাংলাদেশের সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। সরকারের এই উদ্যোগ অন্যায়, অনভিপ্রেত ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। মূলত সরকার নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই তাকে কারাগার থেকে বের হতে দিচ্ছে না। তাই আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবী জানিয়ে সরকারকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জোটনেত্রীকে নিয়ে যতই ষড়যন্ত্র করুন না কেন তাকে ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অতীতের মতো আগামীদিনেও জামায়াত ও ২০ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণের পাশে থাকবে।