বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পদ্মা সেতুর শুরুতে রেল লাইন স্থাপনসহ সারা রেলের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারনের ব্যবস্থা গ্রহন করাসহ রেলওয়ে সেক্টরকে যাত্রীসেবা উপযোগী সেক্টর হিসেবে গড়ে তুলুন।
গতকাল বাংলাদেশ রেলওয়ে এম্পলয়ীজলীগের কার্যকরী পরিষদের অধিবেশন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। রেলওয়ে এম্পলয়ীজলীগের সভাপতি শ্রমিকনেতা আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সেলিম পাটোয়ারির পরিচালনায় উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান,কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান।অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারী লস্কর মোঃ তসলিম,কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সভাপতি আব্দুস সালাম,কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক এস এম লুৎফর রহমান, রেলওয়ে এম্পলয়ীজলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান ভুইঞা, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদকআব্দুলহক,কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,রেলওয়ে আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপুর্ন সেবামুলক সেক্টর। কিন্তু এই সেক্টরে আধুনিকায়নের ছোয়া লাগেনি এবং নানা সমস্যায় জর্জরিত। সারা দুনিয়ার রেলওয়ে সেক্টর এগিয়ে যাচ্ছে অথচ আমাদের দেশে এই সেক্টর দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে। এই সেক্টরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, লাকসাম-ঢাকা কর্ড রেলপথ, বগুড়া জামতৈল, দোহাজারী- কক্সবাজার রেলপথ ও ভাটিয়ারী ষোলঘর শহর বাইপাস সহ প্রস্তাবিত রেলপথ বাস্তবায়ন করতে হবে। পাহাড়তলী,সৈয়দপুর ও কেলোকা কারখানাসমুহ আধুনিকায়ন করে ইঞ্জিন,কোচ ও ওয়াগন সংযোগের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেলের পতিত জায়গায় মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে। এলএম ল,এএলএম, ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যাফ,অফিস সহকারী, মেডিকেল স্ট্যাফ ও অফিস সহায়কদের ন্যায্য দাবিসমুহ কার্যকর করতে হবে।
শূন্য পদের বিপরীতে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন,রেলের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে হ্যান্ডলিং ৫০% কন্টেইনারের মাধ্যমে পরিবহনে উদ্যাগ গ্রহন করতে হবে। তিনি আরো বলেন,নিরাপত্তার সার্থে সকল লেভেল ক্রোসিং এ পর্যায়ক্রমে আন্ডার ও ওভার পাস চালু করতে হবে। আমদানিকৃত কোস ও ওয়াগনের এস্মেলিং রেলের নিজস্ব কারখানায় করতে হবে। তিনি ১০০% পেনশন ও গ্রাজুয়েটি ১ টাকায় ৪০০ টাকা প্রদান করাসহ রেলের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহবান জানান।