পরিবহন শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ও জীবন মান উন্নয়নে নেতৃবৃন্দকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং আদর্শিক মানসিকতা নিয়ে শ্রকিদের মধ্যে কাজ করতে হবে। রাজনীতি যার যার, শ্রমিক স্বার্থে একাকার এই দৃষ্টিভঙ্গিতে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবহন শ্রমিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত টার্মিনাল দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কথা বলেন। পরিবহন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কবির আহমেদের সভাপতিত্বে ও পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ নুরুল হকের পরিচালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান । অন্যান্য দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এইচ এম আতিকুর রহমান।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকবান্ধব শ্রমনীতি না থাকায় শ্রমের সঠিক মূল্য পাচ্ছে না পরিবহন শ্রমিকগণ। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো শ্রম বান্ধব শ্রম নীতি বাংলাদেশের নেই। এদেশে লাখ লাখ পরিবহনের সাথে সম্পৃক্ত শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। পরিবহন শ্রমিকদের সাথে শ্রমের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয় না। শ্রমিকের বেতন-ভাতা, বোনাস, উৎসবভাতা, রাষ্ট্রীয় শ্রমনীতির অনুকরণে শ্রমিকরা পায় না।
এক্ষেত্রে মালিক ও প্রশাসন উদাসীনতার মধ্যে আছে। ফলে পরিবহন শ্রমিকসহ দেশের লাখ লাখ শ্রমপেশার সাথে বিভিন্ন সেক্টরে থাকা শ্রমজীবি মানুষ তার নূন্যতম ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরো বলেন, আধুনিক বিশ্বের পুঁজিবাদী ও সমাজবাদী রাষ্ট্র দর্শনের কোনটাই শ্রমিকের প্রকৃত অধিকার ও মর্যাদার ন্যূনতম সমাধান দিতে পারেনি। ফলে এখনও শ্রমিক-মজুররা নিষ্পেষিত হচ্ছে। মালিকের অসদাচরণ, কম শ্রমমূল্য প্রদান, অনপযুক্ত কর্মপরিবেশ প্রদানসহ নানা বৈষম্য শ্রমিকের দুর্দশা ও মানবেতর জীবনযাপনের কারণ হয়ে আছে। মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে ইসলাম যে শ্রমনীতি ঘোষণা করেছে, তাকে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা গেলে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা অবশ্যই সুরক্ষিত হবে ইনশাআল্লাহ।