সরকার পক্ষের দলীয় কর্তাব্যক্তিরাই প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষে ভাবে বাণিজ্যে জড়িত।মূলত তারাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছেন, যার কারণেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অস্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, চাল, পিয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আছে অশুভ চক্রের মুঠোবন্দি এ ক্ষেত্রে দলীয় আড়তদার, মজুদদার, পাইকার, অসাধু মালিক মিলে যে চক্র গড়ে উঠেছে, সরকার দলীয় কর্তাব্যক্তিরা তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে যত কথাই বলা হোক না কেন, এর সুফল পাওয়া কোনভাবে সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জনসংখ্যার বেশির ভাগ এখানো দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করে। বর্তমানে দেশের অন্যতম আলোচ্য বিষয় পিয়াজ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি। কালোবাজারি, মুনাফাখোর, দলীয় মজুদদার প্রভৃতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও অপরিহার্য দ্রব্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিদিন এবং ক্রমে এসব পণ্য সংগ্রহ করা কঠিনতর হচ্ছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্য। জনজীবন আজ বিপর্যস্ত, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শ্রমজীবীরা অর্ধাহার ও অনাহারে দিন কাটাতে বাধ্য করছে।
তিনি সরকারকে উদ্যেশ্য করে বলেন, অবশ্যই সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। মুক্তবাজার অর্থনীতির মানে তো এই নয় যে, যার যা খুশি তাই করার সুযোগ থাকবে। সরকারের সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বশীলদের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার পাশাপাশি, দলীয় সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং একই সঙ্গে টিসিবিকে শক্তিশালী করে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।