করোনার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ কর্মসূচিতে দুর্নীতি ও আত্মসাতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১২ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“দেশের অন্তত ২ কোটি মানুষের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের ওপর অর্পিত, তাদের কারো কারো অসততা ও চাল আত্মসাতের ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরকার শুরুতেই ঘোষণা করেছিল চাল বিক্রির কর্মসূচিতে কোনো দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। কিন্তু ইতোমধ্যেই মধ্যেই দুর্নীতি, অনিয়ম ও চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। দেশের ১৮টি জেলায় চাল আত্মসাতের অভিযোগে সরকার দলীয় বেশ কয়েকজন নেতা ও কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। গত চার দিনে উদ্ধার করা হয়েছে আত্মসাৎকৃত ৯৫ হাজার কেজি চাল। এটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রকৃত ঘটনার একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। প্রকৃতপক্ষে হাজার হাজার কেজি চাল আত্মসাৎ করা হচ্ছে। করোনায় সংক্রমণের মানবিক বিপর্যয়ের দিনগুলোতে বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি ও তাদের সহযোগীরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। মহাদুর্যোগের এ পরিস্থিতিতে দুর্নীতির ঘটনা নিতান্তই দুঃখজনক। শুরুতেই চাল বিতরণের দায়িত্ব প্রাপ্তরা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। জাতির এই মহাদুর্যোগকালে যারা জনগণের মুখের গ্রাস কেড়ে নিচ্ছে তারা মানবতার শত্রু। এদেরকে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
ত্রাণের চাল বিতরণে দুর্নীতি, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা ও আত্মসাতের ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে আমরা মনে করি।
জাতির এ দুর্দিনে সেনাবাহিনী মাঠে ময়দানে কাজ করছে। সেনাবাহিনীর উপর জনগণের আস্থা রয়েছে। ত্রাণের চাল সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছানো নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চাল বিতরণ কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”