করোনাভাইরাস শনাক্তের কিটের অনুমোদন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৮ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদগণ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন মে মাসে করোনা ভাইরাস বড় আকার ধারণ করতে পারে। করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে নানা জটিলতা, সীমাবদ্ধতা ও সংকট রয়েছে। করোনা মহামারীর ফলে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভয়াবহ সংকটে নিপতিত। করোনা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বেশি বেশি পরীক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছে। অন্যান্য দেশ করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য প্রতিদিন কয়েক হাজার পরীক্ষা করে। সে তুলনায় বাংলাদেশে করোনা পরীক্ষা খুবই কম। কম পরীক্ষার মাঝে করোনা আক্রান্ত রোগীর যে সংখ্যা তা উদ্বেগজনক। করোনা পরীক্ষার সরঞ্জাম ও উপাদানের ঘাটতির কারণে ব্যাপক আকারে পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
করোনা পরীক্ষার সংকটজনক পরিস্থিতিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবন করে। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রই প্রথম বাংলাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের কিট আবিস্কার করে। তারা দীর্ঘ দুইমাস প্রচেষ্টা চালিয়ে করোনা শনাক্তকরণ কিট উদ্ভাবনে সক্ষম হয়। তাদের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত হননি। সরকার কিট তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও দেশীয় নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি বলে আপত্তি উত্থাপন করে তা গ্রহণে অস্বীকার করে। সরকারের বক্তব্যে যে সব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে তা আরও সহনশীল ও সমাধানমূলক হওয়া প্রয়োজন ছিল। কিটের মান, গুণাগুণ, নিরাপত্তা এ প্রচলিত নিয়মনীতিসমূহ বিবেচনায় নিয়ে গণস্বাস্থ্যের কিটের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত বলে আমরা মনে করি। সরকার তা না করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে এক ধরনের ব্লেইম গেমে জড়িয়ে পড়েছে, যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়।
দেশের এক কঠিন মুহূর্তে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত কিটের অনুমোদন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা অবিলম্বে নিরসন করে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার সংকট উত্তরণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”