করোনার কারণে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ রাখার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১০ জুন এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “করোনার এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মধ্যে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকগণ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদেরকে মানবিক দৃষ্টিতে না দেখে কারখানাগুলোতে গণহারে শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। এটি শ্রমিকদের সাথে অত্যন্ত অমানবিক আচরণ। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে গত ৭ জুন পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজিপুর ও চট্টগ্রামে ১৭ হাজার ৫৭৯ জন শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছ। বাস্তবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। অন্য এক জরিপে দেখা গেছে করোনার প্রভাবে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে।
কারখানাগুলো শ্রম আইনের কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে আইন লংঘন করে শ্রমিক ছাটাই করছে। ছাঁটাকৃত শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনাও তাদের বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছেনা। একদিকে কর্মসংস্থানের স্বল্পতা অপরদিকে গণহারে ছাঁটাইয়ের শিকার হয়ে শ্রমিকগণ আয়-রোজগার হারিয়ে কপর্দকহীন হয়ে পড়ছে। তারা অর্ধাহারে-অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে।
করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষে সরকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এই প্যাকেজ যথাযথভাবে বস্তবায়ন হলে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনা ঘটত না। প্রণোদনা প্যাকেজ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা মনে করি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, আত্মসাৎ বন্ধ করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার স্বার্থে ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে আরো কঠোর হওয়া দরকার।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মানবিক দৃষ্টিতে শ্রমিকদের দেখার ও শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি ।”