দেশের সমস্ত অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং জাতীয় পত্রিকা, রেডিও এবং টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের জন্য আলাদাভাবে নিবন্ধন করতে সরকারি নির্দেশনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেনঃ-
“জাতীয় সম্প্রচার কমিশন ও অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। এর মধ্যেই তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সকল অনলাইন নিউজ পোর্টাল, জাতীয় দৈনিক, রেডিও এবং টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের জন্য পৃথকভাবে নিবন্ধন নিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ৩১ আগষ্ট মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭’ (সংশোধিত ২০২০) এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর ফলে এখন থেকে দেশের সকল অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং জাতীয় দৈনিক, রেডিও এবং টেলিভিশনের অনলাইন সংস্করণের জন্য পৃথকভাবে নিবন্ধন নিতে হবে।
বাংলাদেশের সংবিধানে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে এ আইনটি স্বাধীন মত প্রকাশ ও মুক্ত গণমাধ্যম নীতির পরিপন্থী। ইতোমধ্যে এই আইনের বিরোধিতা করে মানবাধিকার সংগঠনসহ অনেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে নজিরবিহীন কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত এ সরকার সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করার জন্য অনলাইন নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করেছে। এটি অবাধ তথ্য প্রবাহ ও স্বাধীন মতপ্রকাশে পথকে আরো রুদ্ধ করবে। সর্বাত্মকভাবে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যেই এই আইন কার্যকর করা হচ্ছে।
মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণমাধ্যমের উপর আরোপিত এ বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”